জনগণের সুবিধার্থে উপড়ে পরা গাছ সংরক্ষণ করেছি,ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না: সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া

জীবন আহমেদ লিটন : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গাছ কর্তন নিয়ে সংবাদকে মিথ্যা-বানোয়াট ও সাজানো সংবাদ বলে উল্লেখ করেছেন উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেখাছ মিয়া। বৃহস্পতিবার (১৩জানুয়ারি) দুপুরে ইউপি কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া বলেন, গত ১১ জানুয়ারি ২০২১ খ্রি. স্থানীয় আজকের হবিগঞ্জ পত্রিকাসহ আরো বেশ কয়েকটি পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে নিয়ে যে সংবাদটি প্রকাশ করা হয় তা অত্যন্ত মানহানিকর। দক্ষিণ যাত্রাপাশা বনমথুরা স্কুলের পাশে ২টি শিশু গাছ বিগত এক বছর আগে ঝড়ে রাস্তা ও একটি ঘরের উপর পরে যায়।

এই পরিত্যক্ত গাছগুলো স্থানীয় ইউপি সদস্যর মাধ্যমে অপসারণ করে রাস্তার পাশে রেখে দেই। ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে এলাকার একটি বিশেষ মহল নানাভাবে দীর্ঘ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিভিন্ন পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়কে ভিন্নখাতে নেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে আগামী ইউপি নির্বাচনে আমাকে ঘায়েল করে বিশেষ সুবিধা নেয়া। তিনি আরো বলেন,বিগত করোনাকালীন সময়ে সরকারের যত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা সুবিন্যস্তভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছি যা সর্বসাধারণ অবগত আছেন। আমি বিশ্বাস করি এসব ষড়যন্ত্র করে আমাকে আমার লক্ষ্য থেকে কেউ বিচ্যুত করতে পারবে না ইশাআল্লাহ। এসময় ইউনিয়নের বিপুল পরিমানের জনগণ স্বপ্রণোদিতভাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডাকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওই এলাকার সর্দার তোতা মিয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়া শ্রমিক পাঠিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে উন্মুক্ত করে দেন। এই গাছগুলো এলাকার কতিপয় লোক নেয়ার চেষ্টা করেছিল। হয়তো সেগুলো না নিতে পেরে তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এসব মানুষ কারা এলাকাবাসীসহ দেশবাসী তা ভালো করেই জানেন। অত্র ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: বাবলু মিয়া জানান,ঝড়ে পরিত্যক্ত এই গাছগুলো সরাতে এলাকাবাসী আমার কাছে এসেছিলেন। এটার প্রেক্ষিতে আামি ইউপি সদস্য হিসেবে চেয়ারম্যান সাহেবকে বলার পর এই গাছগুলো শ্রমিক দিয়ে কেটে রাস্তার পাশে রাখার ব্যবস্থা করে দেন। এটাকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ মহল নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে যা আদৌ কাম্য নয়।

এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বি বাদশা মিয়া চৌধুরী জানান, যেখান থেকে গাছ কাটা হয়েছে সেখানকার পাশেই একটি খেলার মাঠ রয়েছে। সেই মাঠকে বিভিন্নভাবে ওই সব ষড়যন্ত্রকারীরাই নিজেদের নামে করে নিয়েছে। আর এই সব ব্যক্তিরাই জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মোঃ রেখাছ মিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সাংবাদিকসহ পুরো এলাকাবাসীর কাছে অনুরোধ দখল হওয়া খেলার মাঠটি দখলকারীদের হাত থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন খান, সহ-সভাপতি বিপুল ভুষণ রায়,সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া লিলু,সাবেক ম্যানেজার ফজলু মিয়া,মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জিল মিয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল মিয়া,শাহজাহান মিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিবুর রহমান,ফয়সল আহমেদ ও বিভিন্ন এলাকার ছান্দ-সর্দাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

Print Friendly, PDF & Email

আরও পড়ুন...

মরহুম মকবুল হোসেনের মাগফেরাত কামনায় বানিয়াচং স্টারক্লাবের মিলাদ মাহফিল

বানিয়াচংয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক ব্যবসায়ী আহত

আপনাদের লেখনি প্রশংসাযোগ্য,মডেল প্রেসক্লাবে ইফতারে উপজেলা চেয়ারম্যান কাশেম চৌধুরী