জেসমিন বেগম, বিশেষ প্রতিনিধি : একটি মেয়ে ও একটি ছেলের হঠাৎ একদিন একটা পোগ্রামে দেখা হলো,দুই জনের মধ্যে বন্ধুতের সম্পর্ক হলো, একজন আরেক জনের ফোন নাম্বার আদান প্রধান হলো, তাদের মধ্যে সুখ দুঃখের আলাপ আলোচনা হয়। ছেলে বন্ধু মেয়েটির কাছে তার জীবনের দুঃখ কষ্ট শেয়ার করে, ছেলেটা দুঃখ বলার মতো জায়গা নাই, তাই মেয়ে বন্ধু সবসময় তার খবর নিতো। ছেলেটা একটা বিয়ে ও করেছে। হঠাৎ একদিন রাত একটার সময়, মেয়েটি বন্ধুর দুঃস্বপ্ন দেখে বন্ধুকে মোবাইলে ফোন করে। ছেলেটি ফোন রিসিভ করলে মেয়েটি ছেলেটির কান্না শুনতে পায়। মেয়ে বন্ধু বলে তোমার কি হইছে তখন ছেলেটা বলে তোমাকে অনেক সময় অনেক কথা বার্তা বলেছি আমাকে ক্ষমা করে দিয়। মেয়েটি বলে তুমি এখন কোথায় আছ, ছেলেটি বলে এখন আমার বাবার কবরের উপরে আছি, আমাকে আর কোনদিন ফোন দিয়ে পাবেনা, আমাকে ক্ষমা কর।আমি না ফেরার দেশে চলে যাবো। তখন মেয়ে বন্ধু বলে আমি তোমার সুখ দুখের সাথী হতে চাই। আমি কুমারী মেয়ে তোমার জীবনী শোনে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তোমাকে আমার জীবন সাথী করতে চাই। আজ থেকে তোমাকে আমি আমার স্বামী হিসেবে সেবা করতে চাই, আমাকে এই অধিকারটুকু দিও। ছেলে বন্ধু বলে আমার সাথে তোমার জীবনটা নষ্ট করো না। মেয়েটি বলে পৃথিবীতে তোমার চেয়ে ভালো স্বামী আমি চাই না। আমি তোমার সেবা করে মরতে চাই।
লেখক-
বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক অনুসন্ধান।
(সাংবাদিক শেখ সফিকুল ইসলাম সফিকের পত্নী)