বানিয়াচং প্রতিনিধি : গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ আনন্তার্জিকমানের সাংবাদিক জুলকারনাইন শায়েরের নিজস্ব ভেরিফাইড ফেসবুকে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক আলহাজ্ব জি কে গউছ ও বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী ও ১৪ দলীয় সংগ্রাম কমিটির সাবেক সদস্য সচিব এবং বর্তমান হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য ফরহাদ হোসেন বকুলকে নিয়ে সংবাদ আঁকারে স্ট্যাটাসের বিষয়ে বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বকুল।
তিনি বলেন, সারাদেশে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অত্যাচারে যখন দলের নেতাকর্মীরা গভীর বিপদে আচ্ছন্ন তখনও জি কে গউছের নেতৃত্বে স্বৈরাচার বাহিনীর সাথে রাজপথে লড়াই হয়েছে, সেই আন্দোলনের দাবানল সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তাকে জেলখানায়ও হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। উনার সাহসি ভ‚মিকার জন্য দলের নীতিনির্ধারক ফোরাম উনাকে ধাপে ধাপে পুরস্কৃত করছেন দেখে স্বৈরাচারের মুখোশ পড়া দোসর উনার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করছেন।
অপরদিকে আমি গত ১৬ বছর দলের (বিএনপির) নেতাকর্মী নিয়ে সকল আন্দোলন সংগ্রামে রয়েছি, ফলে স্বৈরাচারী সরকার আমার বিরুদ্ধে ডজনের অধিক মামলা দিয়েছে, বাড়ি ছেড়ে হাওরে জঙ্গলে বিরতিহীনভাবে রাত কাটিয়েছি এবং একাধিকবার কারাবাসী হয়েছি। আমি উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি (১৯৯১), এরপর যুবদল, কৃষকদল, শ্রমিকদলের নেতৃত্ব দিয়ে ৯৫ সালে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। ২০০৯ সালে তৃণমুল বিএনপির ভোটে আমি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ ১১ বছল (১৯ সাল পর্যন্ত) দায়িত্বে ছিলাম।
দলের দুর্দিনের হাল ধরে দীর্ঘ চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আজ যখন স্বৈরাচারের দমন পীড় নেই, ঠিক তখনই আমাকে রুখে দিতে স্বৈরাচারের দোসররা (যারা ১৬ বছর রাজপথে ছিল না) আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য বিভিন্ মাধ্যমে প্রকাশ করছেন। আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলতে চাই অতীত ও বর্তমানে আমার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির চিত্র কেউ প্রমান করতে পারবেন না। আমি সাংবাদিক জুলকারনাইন শায়েরের ফেসবুক ওয়ালে দেওয়া ২২ ডিসেম্বরের সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং প্রত্যাখ্যান করছি।