19 C
dhaka
সোমবার, ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ভোর ৫:৪৪
দৈনিক ঢাকার সংবাদ

বানিয়াচং আদর্শ হাইস্কুলের শিক্ষক নানুর অপসারণের দাবীতে ফের উত্তাল রাজপথ

জীবন আহমেদ লিটন \ বানিয়াচং আদর্শ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক নানু মিয়ার বিরদ্ধে ৮ কোটি টাকা লুপাটের অভিযোগ এনে তার অপসারণ চেয়ে চলমান শিক্ষার্থীদের আনেন্দালন ফের চাঙা হয়ে উঠেছে। অত্র বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার শেষ দিন বৃহস্পতিবার ( ৫ ডিসেম্বর) বেলা ২ টায় রাজ পথে নেমে আসেন শত শত শিক্ষার্থী। এসময় শিক্ষার্থীরা নানু মাস্টারের অপসারণের জন্য একদফা দাবী তুলে নিে ¯েøাগান দেন তারা। এর আগে সকাল ৯ টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত পরীক্ষার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করেন ছাত্র ছাত্রীরা।

জানা যায়, ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বানিয়াচং আদর্শ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক নানু মিয়াকে স্বৈরাচারের দোসর ও ১৫ বছরে শিক্ষার্থীদের ৮ কোটি টাকা লুপাটকারী আখ্যা দিয়ে তার আপসারণের দাবীতে শিক্ষার্থীরা গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলেন। কিন্ত ঘটনার ১ সপ্তাহ পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফের ৯ সেপ্টেম্বর ৫ থেকে ৬ শত ছাত্র-ছাত্রী উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করেন। স্কুলের সভাপতি ইউএনও মাহবুবুর রহমান কৌশলে অভিযুক্ত নানুসহ আরও ২ জনকে বাধ্যতামুলক ছুটিতে পাঠান এবং আন্দোলনকারীদের থেকে লিখিত অভিযোগ নেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত অভিযোগকারীরা হলেন নবম শ্রেণীর ছাত্র তানজিল, দশম শ্রেণীর ইমদাদ, শাকিব ও সাবেক শিক্ষার্থী আতাউর রহমান বিপ্লব।

শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি কর্তৃক লিখিত অভিযোগে বলা হয় ১৫ বছরের স্বৈরশাসক আমলে ক্ষমতার দাপটে বেআইনিভাবে বিরতিহীনভাবে আদর্শ হাইস্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন ৫ আগস্ট বানিয়াচংয়ে ৯ ছাত্রজনতা হত্যা মামালার মুল হোতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া। তার দুর্নীতির মুল সহচর ছিলেন শিক্ষক নানু। নানু ও তার সহযোগীরা মিলে বিভিন্ন খাত থেকে স্কুলের প্রায় ৮ কোটি টাকা লুপাট করেন। নাইন মার্ডার মামলায় পলাতক (বর্তমানে পলাতক) ধন মিয়ার নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষক নানু মিয়া ফরম পুরণ, ভর্তি ফি, বেতনসহ বিভিন্ন খাত থেকে ৮ কোটি টাকা লুপাট করেন, তাই তাদেরকে অপসারণ করা হোক। আবেদনের সাথে টাকা আত্মসাতে প্রমানাধি সংযুক্ত করে দেওয়া হয়।

ঘটনার আড়াই মাস অতিবাহিত হলে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেন গত ৩০ নভেম্বর, তাদের স্বাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গত পহেলা ডিসেম্বর স্থানীয় পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ খবর পেয়ে শিক্ষক নানু, তার ভাই মিলন ও চাচাত ভাই রাজীব মিলে আন্দোলনকারী দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বানিয়াচং সৈদ্যাটুলার স্বাধীন মিয়ার বাড়িত ৪ ডিসেম্বর হামলা করে। এসময় জনতার ধাওয়ায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে একঘন্টা বিক্ষোভ ও স্কুলে অবস্থান করেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসেন, তারা বড়বাজারসহ আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা নানু মাষ্টারের অপনারণ চেয়ে একদফা দাবীতে বিভিন্ন ¯েøাগান দেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন ১০ম শ্রেণনীর শিক্ষার্থী স্বাধীন, ইমদাদ,তানজিন,জয়,সালমান,আশার ও আরাবি প্রমুখ।

আন্দোলনকারীদের একজন তানজিল জানান, ইউএনও মাহবুবুর রহমান কুলউড়া উপজেলার আওয়ামীলীগ পরিবারের এবং তিনি নিজেও ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন, ফলে সারাদেশে দুর্নীতিবাজ শিক্ষকরা অপসারিত হলেও বানিয়াচংয়ে ঘটে এর ব্যতিক্রম। তার দাবী আড়াই মাস ধরে তদন্তের নামে চলছে প্রহসন, দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের বাঁচাতে কৌশলে কাল ক্ষেপণ করেন ইউএনও মাহবুবুর। তিনি বলেন অবিলম্বে শিক্ষক নানুকে অপসারণ না করলে আবারও তারা রাজপথে বিরামহীন আন্দোলন করবেন। শিক্ষার্থী আতাউর রহমান বিপ্লব বলেন ৩ সেপ্টেম্বই আমরা সফল হতাম, কিন্ত তৎকালীন ইউএনও সেটা করতে দেননি। দুর্নীতিবাজ শিক্ষকসহ ইউএনও মাহবুবুরেরও অপসারণ দাবী করেন তিনি।

আরও পড়ুন...

আরশাদ ফজলে খোদা লিটন বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা মনোনীত

অনলাইন ডেস্ক

স্বাধীন দেশে ফ্যাসিস্টদের স্থান নেই,বানিয়াচংয়ে বিএনপির সভায়-মারুফ

অনলাইন ডেস্ক

তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে শিবপাশায় ডা. জীবনের নেতৃত্বে বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি

অনলাইন ডেস্ক