বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্থানীয় আওয়ামীলীগের হামলায় ৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় গত ২২ আগস্ট থানায় ১৬০ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন নিহত হাসানের পিতা ছানু মিয়া। মামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ অনেককেই আসামী না করায় বিএনপিতে চরম অন্তকোন্দল দেখা দিয়েছে। বর্তমান উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্তির দাবীতে ১৫ টি ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দফায় দফায় সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে। সভায় কয়েকজন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক তৃণমুল বিএনপির নেতা জানান, হত্যা মামলার বাদী নিহত হাসানের পিতা বাদী হলেও উপজেলা বিএনপির (সুপার ফাইভ) সভাপতি মুজিবুল হোসেন মারুফ, সেক্রেটারী নকিব ফজলে রকিব মাখন, সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আল হাদি, জয়েন্ট সেক্রেটারী জাহির মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খালেদ মিয়াসহ আরও কেয়কজন শীর্ষ নেতা আসামীদের তালিকা করেছেন। গত ২০ ও ২১ আগস্ট নেতারা এসপির সাথে বৈঠক করে আসামীর চুড়ান্ত তালিকা করেছেন।
কিন্ত ভিডিও ও স্থীরচিত্রে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আমির হোসেন মাস্টার, জয়েন্ট সেক্রেটারী তজমুল হক চৌধুরী, সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ খানের পিএস সেলিম উদ্দিন, ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মোত্তাক্বিন বিশ্বাস, সহসভাপতি রশিদ মেম্বার, যুবলীগ নেতা পারেভজ আলম, খসরু, লিলু খানসহ অনেক চিহ্নিতদের মামলায় আসামী করা হয়নি।
ওই মামলায় অনৈতিক বানিজ্য ও স্বেচ্চাচারিতার অভিযোগ এনে উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন বিএনপির সুপার ফাইভ নেতারা গত বুধবার স্থানীয় নাগুড়ার ফার্মে সভা করেন। সভায় নেতারা বলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেক্রেটারীসহ অনেক শীর্ষ নেতার পদ স্থগিত বা কমিটির বাতিল করতে হবে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি নেতা আকাদ্দছ হোসেন তালুকদারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের টিম কেন্দ্রীয় বিএনপির বরাবরে অভিযোগ দেন।
আকাদ্দছ হোসেন তালুকদার বলেন, বিএনপির সভাপতি সেক্রেটারীসহ অনেক নেতার বিরুদ্ধে অনৈতিক বানিজ্য ও সেচ্চাচারিতার অভিযোগে ফুঁসে উঠেছেন তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। মামলায় ৪০ বছর যাবৎ আওয়ামীলীগের সভাপতি যিনি শত মামলা দিয়েছেন বিএনপির বিরুদ্ধে তাকেই আসামী করা হয়নি। তাই দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।