আবু হানিফ বিন সাঈদ : বানিয়াচং উপজেলার বড়বাজার আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুবর্ণা আফরোজ প্রেশনের ছুঁতো ধরে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে অদ্যবধি অনুপস্থিত। সূত্র জানিয়েছে ওই শিক্ষিকার স্বামী শিক্ষা অফিসার এ কে এম রুহুল আমিন সিলেট হেড অফিসে কর্মরত। স্বামীর খুঁটির জোরে প্রেশনের মেয়াদ গেল ফেব্রæয়ারি মাসের ২৯ তারিখে শেষ হলেও নিজ কর্মস্থলে যোগদান করছেন না। ফলে বড়বাজার প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
বড়বাজার প্রাইমারি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজ উদ্দিন জানিয়েছেন তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক, প্রতিমাসেই কোনো না কোনো শিক্ষক শিক্ষিকা ছুটিতে থাকেন। ফলে সুবর্ণ আফরোজ যোগদান না করায় শিক্ষক শিক্ষিকারা পাঠদান করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, শিক্ষিকা সুবর্ণা আফরোজের স্বামীর লবিংয়ে আমাদের স্কুলে শিক্ষক সংকট থাকলে তাকে তাদের সুবিধামত স্কুলে ডেপুটিশনে নিয়ে যাওয়া হয়। ডেপুটিশনের মেয়াদ শেষ হলেও প্রায় দেড়মাস যাবৎ স্বামীর ক্ষমতার জোরে নিজ কর্মস্থলে যোগদান করছেন না।
শিক্ষিকা সুবর্ণা আফরোজ বলেন, আমার ডেপুটিশনের মেয়াদ শেষ হলেও সময় বর্ধিত করার জন্য ডিপিও (জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার) স্যারকে অনুরোধ করেছিলাম। আজকে ২০ মার্চ তিনি আমাকে ফোন করে বলেছেন ডেপুটিশনে যাওয়া ৯ নং পুকরা ইউনিয়নের ১৩৪ নং দৌলতপুর সরকারী প্রাইমারি স্কুলে পাঠদান করার জন্য।
বানিয়াচং উপজেলা শিক্ষা অফিসার কবিরুল ইমলাম জানান, জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন সবুর্ণা আফরোজের প্রেশনের মেয়াদ আরও কিছুদিন বাড়িয়ে দেবেন তিনি, তাই ওই শিক্ষিকার ব্যাপারে আমি কিছু করতে পারব না।
হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মাওলা বলেন, শিক্ষিকা সুবর্ণাকে ঈদের ছুটির পরে বড়বাজার প্রাইমারী স্কুলে যোগদান করার নিদেশ দেওয়া হয়েছে।