স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের আদেশকে অবৈধ এবং সেই আদেশের কার্যকারিতা বাতিল করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি জাফর আহমেদ এবং বিচারপতি মো. বশির উল্ল্যাহর বেঞ্চে এই আদেশ প্রদান করে।
হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান শামীম এর আইনজীবী এডভোকেট মামুন চৌধুরী জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপ-সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ২০১৮-২০২০ এর কমিটি বাতিল করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোতাচ্ছিরুল ইসলাম বিরতিহীনভাবে তিনবারের অধিক সময় বহাল থাকা সংগঠনটির সংঘবিধি অনুযায়ী সঠিক ছিল না। তাই তার মেয়াদে গঠিত নির্বাচন বোর্ড, নির্বাচন আপিল বোর্ড ও গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটিও সঠিক নয়। যে কারণে উক্ত সংগঠনের নির্বাচন যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান শামীম গত ৪ জানুয়ারী রিট পিটিশন দায়ের করলে ‘হাইকোর্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত তিন মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেন এবং তিন মাসের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিবকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ প্রদানের নির্দেশ দেন। পরে স্থগিতাদেশ আরও ১ বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হয়। এরই মাঝে রিট পিটিশনের অন্যতম পক্ষ হবিগঞ্জ চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোতাচ্ছিরুল ইসলাম জবাব দাখিল করেন।
দুই তরফা শুনানী শেষে মঙ্গলবার মহামান্য বিচারপতিদ্বয় রিট পিটিশনকারী মিজানুর রহমান শামীম এর পক্ষে চুড়ান্ত আদেশ প্রদান করেন। মিজানুর রহমান শামীম এর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক ও মামুন চৌধুরী।এডভোকেট মামুন চৌধুরী জানান, উচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে মিজানুর রহমান শামীম এর নেতৃত্বাধীন কমিটির কাজ করতে আর কোন বাধা নেই।
এদিকে উচ্চ আদালতের চুড়ান্ত আদেশ হওয়ার খবরটি ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় হবিগঞ্জের ব্যবসায়ীদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। হবিগঞ্জ শহরের পুরানমুন্সেফী এলাকায় অবস্থিত চেম্বার অফিসে গতকাল রাতে ব্যবসায়ীরা উপস্থিত হয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।