আলফা বেগম, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ; হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বালিচাপড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী হেপী রাণী পালের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও ঠিকমতো ডিউটি না করে ঘরে বসেই বেতন গুণছেন। তার অনিয়মে অতিষ্ট হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর তথ্যের ভিত্তিতে গত রবিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় সংবাদকর্মীরা সরেজমিনে ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পান এবং হেপী রাণীকে পাওয়া যায়নি। সংবাদকর্মীদের খবর পেয়ে প্রায় সাড়ে ১০ টার দিকে ক্লিনিকে আসেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা পিয়ারা খাতুন, রীমা আক্তার, হুসাইন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, হেপী রাণী পাল দীর্ঘদিন যাবত বালিচাপড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে রয়েছেন। সে সুবাদে বিত্তশালী অনেক মানুষের সাথে রয়েছে ভালো সম্পর্ক। হেপী রাণীর ঘনিষ্ট কিছু যুবক ও মহিলারা যেকোনো সময় আসলেই বিভিন্ন রকমের ঔষধ নিয়ে যান।কিন্তু গ্রামের গরীব দুঃখী মানুষ আসলেই ঔষধ নেই বলে তাড়িয়ে দেন তিনি।
ক্লিনিকের পাশের বাসিন্দা রীমা আক্তার জানান, আমার জ্বর ও পাতলা পায়খানা শুরু হলে আমি ঔষধ নেওয়ার জন্য ক্লিনিকে যাই,কিন্তু হেপী রাণী সরকারি ঔষধ থাকা সত্বেও আমাকে ঔষধ নাই বলে জানিয়ে দেন।
স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা পিয়ারা খাতুন জানান, আমি গত এক বছর আগে ঔষধ নেওয়ার জন্য ক্লিনিকে আসলে আমাকে কোনো ঔষধ দেওয়া হয়নি। গত বৃহস্পতিবার আমার বাচ্চার জন্য ঔষধ নিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে এসে দেখি তালাবদ্ধ তখন আমি ঔষধ না নিয়েই অসহায়ের মতো ফিরে যাই।
স্থানীয় বাসিন্দা হুসাইন মিয়া জানান,ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে মুখ দেখে ঔষধ দেয়া হয়। যারা ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মী হেপী রাণী পালকে লাউ কুমড়া ও ভালো মাছ খাওয়াতে পারেন তাদের জন্য সবকিছু উন্মুক্ত।
কমিউনিটি ক্লিনিক কমিটির সদস্য রজব আলী বলেন, আমরা সেবা প্রত্যাশীদের বলেছি ক্লিনিকে এসে যদি কেউ কোন সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলে আমাদেরকে জানানোর জন্য, আমরা অভিযোগ পাইলে তা মিটিংয়ে উপস্থাপন করবো।
এব্যাপারে হেপী রাণী পাল জানান,সংসারের সমস্যার কারণে মাঝে মধ্যে একটু দেরিতে আসতে হয়। স্বজনপ্রীতির কথা তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার বাবুল কুমার দাস বলেন, বিষয়টি যাচাই বাছাই করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।