(বিশ্ব পরিবেশ দিবসে দৈনিক অনুসন্ধানের বিশেষ আয়োজন)
জীবন আহমেদ লিটন, ১৬ বছর বয়সে ব্যবসা ছাতার মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি ডিস সংযোগ দেওয়া। সারাদিনের আয় দিয়ে বাজার সদাই করে যা অবশিষ্ট থাকে সেই অর্থ দিয়ে গাছ কিনে বাড়ির আঙ্গিনায় লাগাতেন। আঙ্গিনা ছোট হওয়ায় মনের মতো করে গাছ রূপন করতে পারতেন না। অবশেষে একতলা বিশিষ্ট ছাদ দিয়ে একটি দালান তৈরী করেন। আর ওই দালানে ১৯৯০ সালে ধীরে ধীরে গড়ে তুলেন ছাদ বাগান। বলছিলাম হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদর ১ নং ইউনিয়নের বাগ মহল্লার বৃক্ষপ্রেমিক লালন মিয়ার কথা। তার পিতার নাম মৃত তাহের উল্লা। জন্ম ১৯৭১।
এরপর চলে আসে ইন্টারনেটের যুগ। পড়ালেখা অক্ষর জ্ঞান হলেও লালন ঐশ্বরিক শক্তিতে হয়ে উঠেন একজন দক্ষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। অনলাইনে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশের সৌদিআরব, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর থেকে অনলাইনে ক্রয় করতে শুরু করেন ডুমুর, কমলা, আঙ্গুর, মালটাসহ বিভিন্ন ফলদবৃক্ষ। বর্তমানে তাঁর ছাদ বাগানে অন্যান্য গাছের পাশাপাশি রয়েছে প্রায় ২ শত প্রজাতির ডুমুর গাছ। লালন মিয়া বলেন, তার কাছ থেকে দেশের বিভন্ন প্রান্ত থেকে গাছের চারা নিয়ে অনেকে গড়ে তুলছেন বৃক্ষের বাগান।
বর্তমানে দুটি ছাদ বাগানে প্রায় ৫ শ প্রজাতির গাছ রয়েছে। বিশাল এ ছাদ বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে গাছপ্রেমিরা প্রতিদিন আসেন। বৃক্ষের প্রতি লালন মিয়া বর্তমানে বেশিরভাগ সময়ই গাছের পরিচর্যায় ব্যয় করেন। আর গাছের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালবাসা আজ জেলা পেড়িয়ে দেশজুড়ে ডুমুর সম্রাট লালন মিয়া নামে তিনি পরিচিত লাভ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এনামুল হক জানান, লালন মিয়া এখণ উদীয়মান উদ্যোক্তা। তিনি সবুজ দেশ গড়ার কাজে অংশীদারের পাশাপাশি অন্যান্য বৃক্ষপ্রেমিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের পরিবেশ রক্ষায় বড়ধরনের অবধান রাখছেন।