ষ্টাফ রিপোর্টার : বারবার নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে ৩ টি মামলা করায় এবং হামলাকারী পান্না বেগমগে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করায় হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদর শরীফখানী গ্রামের সন্ত্রাসী পাবেল বাহিনীর ৩য় দফা হামলায় ৬৭ বছরের বৃদ্ধা নেহার বেগম এখন মৃত্যুশয্যায়। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২২ মে) বিকাল ৩ টায়। পুলিশ মুমুর্ষ অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করেছে। হাজতবাসী পান্না কুতুমখানী মহল্লার সর্দার জয়নাল মিয়ার স্ত্রী ও পাবেলের ভগ্নি। এদিকে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
মামলার সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, শরীফখানী গ্রামের মনু সরদারের মেয়ে সাবেক ইউপি মেম্বার নেহার বেগম ওই দাঙ্গাবাজ নারী-পুরুষের হামলায় ২ বার রক্তাক্ত জখম হয়ে আদালতে ৩ টি মামলা করেন। একটি মামলায় রবিবার পাবেল ছাড়া বাকী ৫ জন আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আসামী পান্নার জামিন না মুঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী নেহার বেগমের ঘরে ঢুকে তার উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায় তারই ভাস্তে পাবেল, সোহেল, জয়নাল, ভাস্তি মান্না মুর্শেদাসহ আরও অনেকে। এতে বৃদ্ধার দুটি দাত ভেঙ্গে যায়, বুকে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে রক্তবমিও হয়। ত্রিপল নাইনে কল দিলে পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধাকে হাসপতালে মুমুর্ষ অবস্থায় ভর্তি করায়। সেখানে অবনতি হলে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। হবিগঞ্জ থেকে মুমুর্ষ অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত নেহার বেগমের পুত্র ফয়েজ মিয়া জানান, তার মা জয়নালের নিকট গত ২ মাস আগে পাওনা ১ লাখ টাকা চাইতে গেলে তাকে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে পাবেল ও জয়নাল বাহিনী। পরে কোর্টে মামলা করলে আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি হয়। এখবর পেয়ে আসামীরা বৃদ্ধার পরিবারের লোকজনদের হত্যার হুমকি দিলে আদালতে অপর একটি অভিযোগ দায়ের করেন ফয়েজ। তবুও উশৃঙ্খল বাদীরা গত ১ মাস আগে ওই বৃদ্ধাকে বেধরক পিটুনি দেয় ও ছুরিকাঘাত করে।
এর জেরে অপর একটি মামলা করেন নেহার বেগম। রোববার আসামী সন্ত্রাসী পাবেল ছাড়া সকল আসামী আদালতে অত্মসর্মণ করলে পান্না বেগমকে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়। ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।