জীবন আহমেদ লিটন : হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১৭ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। সেই অনুযায়ী করা হয়েছে নান্দনিক অবকাঠামোও। তবে দীর্ঘ ৫ বছরেও মিলেনি প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স ও যন্ত্রপাতি। মাত্র ৫ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা। হাসপাতালে একটি প্যাথলজি ল্যাব থাকলেও নিয়োগ দেয়া হচ্ছেনা প্যাথলজিস্ট। ফলে একদিকে রোগীরা কাঙ্খিত সেবা বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি ডাক্তাররা সেবা নিশ্চত করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে একসাথে যোগদান করেন ১৩ জন মেডিকেল অফিসার। ২ বছরে রাজধানীসহ দেশের উন্নত শহরে বদলী হয়ে চলে গেছেন ৮ জন ডাক্তার। বর্তমানে ইউএইচওসহ রয়েছেন মাত্র ৬ জন ডাক্তার। নেই কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। ফলে একটু জটিল সমস্যা হলেই রোগীদের ছুটতে হয় জেলা শহর কিংবা অন্য কোন হাসপাতালে। হাসপাতালে রয়েছে মাত্র একটি এম্বুল্যান্স। তাও আবার করোনা রোগী ছাড়া অন্য কোন রোগী বহন করে না। একমাত্র এক্সরে মেশিনটি অকেজ। একটি প্যথলজি ল্যাব থাকলেও নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না প্যাথলজিস্ট। যে কারণে টেষ্ট বিড়ম্বনার যেন শেষ নেই রোগীদের। ডাক্তার, নার্স, প্যাথলজিস্ট ও চিকিৎসার যন্ত্রপাতি সংকটের কারণে বিশেষ করে গরীব,অসহায় ছিন্নমুল রোগীদের ভোগান্তি যেন অন্ত নেই।
উপেজলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা আক্তার জানান শুধু ৩১ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় শিশু, গাইনি ও সার্জারী কনসালটেন্ট ডাক্তারের পদ শূন্য এবং চাহিদা অনুযায়ী নেই আরও ১০ জন মেডিকেল অফিসার। আগে ৩১ শয্যার ব্যবস্থা হোক তারপর ৫০ শয্যার বিষয়টি ভাবা যাবে।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুরুল হক জানান, আপাতত ৩১ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের জন্য তিনি চেষ্টা করছেন, আর ৫০ শয্যার বিষয়টি একটু সময় লাগবে।