বরগুনা থেকে নিখোঁজ কিশোরকে বের করে পরিবারের কাছে তুলে দিলেন শামীম মোল্লা

অনুসন্ধান ডেস্ক : বরগুনা জেলার আমতলি উপজেলা চাওড়া ইউনিয়নের চাওরালোদা গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ জায়েদুল ইসলাম শহীদের ছেলে মোঃ মেহেদি হাসান মীম (বয়স আনুমানিক ১৫) বিগত কিছুদিন আগে নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে অজানা উদ্দ্যেশে বেড়িয়ে আসে লঞ্চে করে। পথহারা হয়ে এদিক ওদিক ঘুরতে থাকে মীম দক্ষিণ কমলাপুর এলাকায় । মীমকে রাস্তায় আগাছোলা ভাবে দেখতে পেয়ে দক্ষিণ কমলাপুরের বিমল নামের এক ভদ্র লোক তাকে আশ্রয় দেন। এ বিষয়টি নিয়ে তার বন্ধু মোঃ শামীম মোল্লার সাথে বিমল কথা বললে , তিনি বিগত ৪ জুন পথহারা হয়ে পড়া ছেলেটিকে নিয়ে একটি লাইভ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ৬ জুন রবিবার মীম নামের ছেলেটিকে তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এসময়ে উপস্থিত  সাংবাদিক খোরশেদসহ ওখানকার বসবাসরত ব্যক্তিবর্গ এবং স্থানীয় লোকজন বিমল ও মোঃ শামীম মোল্লার মানবিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন । প্রতিবেদক শামীম মোল্লা’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ছেলেটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অনেকেই বলি মানুষ মানুষের জন্য, কিন্তু বাস্তবে বাস্তবায়ন করা খুবই কষ্টকর। তবুও চেষ্টা করি সর্বদা মানুষের কল্যাণ থাকার জন্য। যতটুকু সম্ভভ হয় চেষ্টা করি। আর মানবিক দিক থেকেই আমি এ কাজটি করেছি। তিনি বলেন আমি ছেলেটির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে  বরগুনা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলি এবং তিনি আমাকে সহযোগীতা করেন।

তাছাড়াও ছেলেটির গ্রামের বাড়ী চাওরালোদা, তবে ছেলেটি  ইউনিয়ন হলদিয়া বলায় হলদিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বারের সাথে কথা বললে তিনি চাওড়া ইউনিয়নের কথা বলেন, পরবর্তীতে চাওড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বারকে ফোন দিলে তিনি ৪ নং ওয়ার্ডের কথা বলেন, পরবর্তীতে চাওড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার হারুন অর রশিদের সাথে কথা বলি এবং তিনি ওই ছেলের পরিবারের সম্পর্কে আমাকে জানান এবং মেম্বারের সহযোগীতায় মেহেদির পরিবারের লোক আসেন এবং সকল তথ্যাদি যাচাই বাছাই শেষে সঠিক প্রমাণিত হওয়ায় আমি এবং দক্ষিণ কমলাপুরের বসবাসরত লোকদের সামনেই তার পরিবারের হাতে তুলে দেই।

মোঃ শামীম মোল্লার ব্যক্তিগত পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নিজ জেলা ঝালকাঠী, নলছিটি থানার মোল্লারহাট ইউনিয়ন আমার বাবা মোঃ কালাম মোল্লা। আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বর্তমানে ঢাকাতেই আছি এবং ছোট খাটো ব্যবসার সাথে জড়িত। তিনি রাজনীতি করেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি হাস্যজ্জল মুখে বলেন আমি ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের একজন কর্মী। মেহেদির চাচাতো ভাই শাখাওয়াতের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে শামীম মোল্লা খোজ দেন, পরবর্তীতে আমি শামীম মোল্লার সাথে যোগযোগ করি। তিনি বরগুনা জেলার জেলা প্রশাসক ও চাওড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার ও মোঃ শামীম মোল্লার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

Print Friendly, PDF & Email

আরও পড়ুন...

করোনার বন্ধে ছাত্রাবাসে থাকার অনুমতি : মন্ত্রনালয়ের তদন্ত কমিটি যাচ্ছে সিলেটে

সামান্য মনোমানিল্যেই স্ত্রী কেটে দিলেন ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ

বানিয়াচংয়ে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে পোনা মাছ