জীবন আহমেদ লিটন : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের বড়বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমানের বড়বাজারস্থ ওয়ালটনের শো রুমে স্ত্রীর মর্যাদার দাবীতে দিনভর অনশন করেছেন প্রেমিকা শিরীন আক্তার। তিনি স্থানীয় যাত্রাপাশা গ্রামের ওমর আলী মাষ্টারের কন্যা। বিয়ে পাগল মতিউর পুরান বাগ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে ৩ সন্তানের জনক। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ৫ মার্চ। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ মতিউর ও শিরীনকে রাতে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
জানা যায়, মতিউর ও ও শিরীন একই ক্লাসে পড়াশোনা করতেন। স্কুল জীবন শেষ করে মতিউর অন্যত্র বিয়ে করেন। তার ৩ টি সন্তানও হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর মতিউর শিরীনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন।
এরই সুবাধে গত ২৩ ফেব্রæয়ারী মঙ্গলবার মতিউর সন্ধার পর শিরীনদের বাড়িতে যান। ওই সময় প্রেমিকা শিরীন প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী তাকে বিয়ে করতে বলেন। মতিউর এতে রাজী না হলে তাকে আটক করে রাখেন শিরীন। পরদিন স্থানীয় মৌলানা দিয়ে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। কিন্তু মতিউর রহমানের ১ম স্ত্রী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোক নিয়ে ওইখান থেকে তার স্বামীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
বাড়িতে এসে শিরীনের সাথে মতিউর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় শুক্রবার তার দোকানে এসে স্ত্রীর মর্যাদা চান শিরীন। এতে তিনি রাজী না হলে দোকানেই অনশন শুরু করেন তিনি। এ খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে শত শত জনতা বড়াবজারের ওয়ালটন দোকানের সামনে ভীর জমান। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আব্দুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স দুজনকেই থানায় নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং বড়বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন জানান, এফিডেভিডের মাধ্যমে শিরীনকে বিয়ে করে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেয়ায় মেয়েটি মতিউরের দোকানে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ দুজনকেই থানায় নিয়ে গেছেন।
রাত সাড়ে ১১ টায় বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, মতিউর ও শিরীন থানায় পুলিশ হেফাজতে আছেন। তাদের সাথে আলোচনা চলছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।