জীবন আহমেদ লিটন \ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ষাটোর্ধ্ব এক ভিখারীনি তাঁর একমাত্র ষোড়শী কন্যাকে নিয়ে বসবাস করছেন জরাজীর্ণ ঝুপড়িতে। পুরো শীতের মৌসুম কাটিয়েছেন খোলা আকাশের নীচে। বৃষ্টির মৌসুম অগমনে ভিখারীনির কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ। পাচ্ছেন না সরকারী ঘর কিংবা কোন ভাতা। ওই হতভাগিনী উপজেলার ৩ নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের সাগর দিঘীর পূর্বপাড় মহল্লার মৃত আব্দুল হক মিয়ার স্ত্রী রব্বানু বিবি (৬৫)।
রব্বানু বিবি জানান, ১৫ বছর আগে এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানকে রেখে তাঁর স্বামী মারা যান। কোন উপায় না পেয়ে সন্তানদের আহার যোগাতে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন। পুত্র বড় হয়ে বিয়ে করে আলাদা থাকে। সেও একটি জীর্ণ কুটিরে অভাব অনটনে দিনাতিপাত করছে। আমি বর্তমানে হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে ভোগছি। তাই ভিক্ষায় বের হতে পারিনা। নিরুপায় হয়ে একমাত্র কন্যা জীবিকার সন্ধানে স্থানীয় আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনে সেলাইয়ের কাজ করে কোনরকম সংসার চালায়।
তিনি আরও জানান, তাঁর স্বামীর রেখে যাওয়া ঘরটি ধীরে ধীরে ভেঙ্গে পড়েছে। চারপাশের বেড়ার টিনে মরিচিকায় বড়বড় ছিদ্র ফুটেছে। উপরের ছাউনি একেবারেই নেই। অসুস্থ শরীর নিয়ে চেয়ারম্যানসহ সরকারী বিভিন্ন মহলে ছুটোছুটি করেছি একটি ঘরের আশায়। কিন্তু স্বচ্ছলরা প্রধানমন্ত্রীর ঘর ও জমি পেলেও আমার কপালে জুটেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহার। জুটেনি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতাও।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার নজরে নাই। তবে সংশ্লিষ্ট কমিটি কর্তৃক প্রনয়ন করা তালিকায় উনার নাম আছে কি না খুঁজে দেখবো। তালিকায় নাম না থাকলে উনাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা জানান, নতুন করে কেউ ঘরবাড়ি পাওয়ার সম্ভাবনা নাই। ঘর পেতে আরও সময় লাগবে।