জীবন আহমেদ লিটন : হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেয়ার ৭ বছর পরও আলোর মুখ দেখেছেনা বানিয়াচং গ্রামের চার পাশের গড়ের খাল উদ্ধার অভিযান। অপরদিকে খালটি দখলদারের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে সমস্যা প্রখট হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাটি ভরাট হয়ে খালের নব্যতা হারাতে বসেছে। ফলে ৪টি ইউনিয়নের স্বমন্নয়ে গঠিত বিশাল গ্রামের পানি নিস্কাশনের একমাত্র মাধ্যম ¤øান হয়ে গেছে।
জানাগেছে ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় গড়ের খাল উদ্ধার ও পুনঃখননের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওই সভায় তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) বিএম মশিউর রহমানকে আহ¦ায়ক ও ওসি লিয়াকত আলীকে সদস্য সচিব করে গড়ের খাল উদ্ধারের জন্য একটি কমিটি করে দেয়া হয়। ৯ নভেম্বর ওই ৭ সদস্যের কমিটি একটি বৈঠক করে। বৈঠকে গড়ের খাল, ও গ্রামের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া অন্যান্য সরকারী খাল উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বানিয়াচং থানা কমপ্লেক্সের সমানের খালে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু বিএম মশিউর রহমান কিছুদিনের মধ্যেই অন্যত্র বদলি হয়ে যান। এতে উদ্ধার অভিযান থমকে যায়।
অপরদিকে গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ বানিয়াচংয়ে গৃহহীনদের নির্মানাধীন ঘরের কাজ পরিদর্শনে এসে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান বানিয়াচং বেষ্টিত গড়ের খাল উদ্ধারের জন্য ইউএনও মাসুদ রানা ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ইফফাত আরা জামান উর্মিকে নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসকের বক্তব্যে ৭ বছর পর বানিয়াচংবাসী যানজট ও জলাবদ্ধতামুক্ত গ্রামে বসবাসের স্বপ্ন বুনছিলেন। কিন্তু ডিসেম্বর পেরিয়ে জানুয়ারী শেষের পথেও জেলা প্রশাসকের নির্দেশনার প্রতিফলন না দেখে হতাশায় রয়েছেন গ্রামের বাসিন্দরা।
সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ইফফাত আরা জামান উর্মি জানান, ২৩ জানুয়ারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়হীনদের দেয়া ঘর উদ্বোধন করবেন। যেহেতু জেলা প্রশাসক স্যারের সরাসরি নির্দেশনা তাই ২৩ তারিখের পর গড়ের খাল উদ্ধার অভিযানে নামবে প্রশাসন।