জীবন আহমেদ লিটন, \ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল গাগড়াকোনা গ্রাম। ওই গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে ঝুপড়িতে বাস করেন ৪ ষাটোর্ধ্ব বিধবা।সারাদিন ভিক্ষাবৃত্তি করে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই তাদের। ওই তিন হতভাগিনীকে নিয়ে বার বার প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও ঝুটেনি তাদের ভাগ্যে বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা ও ঝুটেনি মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী উপহার জায়গা ও ঘর।
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারী জায়গা ও ঘর পেতে তারা করেছেন বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ। অবশেষে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে প্রতিবেদককে জানান, কোন সাহায্য পেতে হলে তাদের ভিক্ষুকের তালিকায় নাম থাকতে হবে। আর সরকারী জায়গা ও ঘর পেতে হলে তাদের সং¯িøষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানর মাধ্যমে আসতে হবে।
কিন্তু ওই বয়স্ক মায়েরা জানান, ১০ বছর যাবৎ বার বার চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে যাওয়া আসা করছি। কিন্তু তাঁরা আমাদের কোন সাহায্যই দেননা। যারা ধনী. টাকা পয়সা ঘুষ দিতে পারে তাদের ভাগ্যেই সাহায্য সহযোগিতা জোটে। তাঁরা কান্না কান্না স্বরে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে আশ্রয়হীনদের ঘর বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন। আমাদের দাবী তিনি যেন আমাদের প্রতি একটু নজর দেন।
ওই ৪ জনের মধ্যে মৃত শুকুর আলীর স্ত্রী লালবানু (৬৫)। তিনি স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ৪০ বছর যাবৎ ভিক্ষা করছেন। মৃত ছাই মিয়ার স্ত্রী লতিবুন নেছা (৭০) জানান, তিনি ২০ বছর যাবৎ ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যাপন করছেন। মতৃ শান্তু উল্লার স্ত্রী লালাই বিবি(৭০)। তিনিও ৪০ বছর যাবৎ ভিক্ষা করছেন। মৃত তোফানীর স্ত্রী কাতন বিবি (৬৫)। তিনি স্বামী মারা যাওয়ার পর ৫ বছর যাবৎ ভিক্ষা করছেন।