জীবন আহমেদ লিটন : অতিথি ও পরিযায়ি পাখি সবুজ শ্যামল সোনার বাংলার সৌন্দর্য বাড়ায়। অনন্তকাল থেকে এদশে অতিথি পাখির আগমন। হালকা শীতের আমেজে গাছগাছালি, হাওর-বাওেরগুলো হয়ে উঠেছে অতিথি রঙ-বেরঙের পাখির অভয়ারন্য।আর এ পাখি শিকার করা এবং ভোজন করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। বর্তমান পাখিপ্রেমী জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান ইতিমধ্যেই জেলাজুড়ে পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে জিরোট্রলারেন্স ঘোষণা করেছেন।
পরিবেশের নান্দনিকতা ও ভারসাম্য রক্ষার্থে হাওর বেষ্টিত এলকা আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পাখি ও প্রকৃতিপ্রেমী মোঃ মতিউর রহমান খান সেই কাকডাকা ভোরে ছদ্মবেশে বেড়িয়ে পড়েন গ্রাম থেকে গ্রামে। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় তিনি ছদ্মবেশ ধারন করে ক্রেতা সেজে চলে যান উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় গ্রামের শিকারীদের বাড়ি।
গ্রামের গড়াহাটির জোনাব আলীর পুত্র আলমগীর মিয়া (২৩) ও একই এলাকার ফারুক মিয়ার পুত্র লতু মিয়া (২০)কে ১২ টি পরিযায়ি পাখিসহ আটক করেন।
আটকৃতদের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ) আইন, ২০১২ অনুযায়ী ১৫ (পনের) দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এ পরিশ্রমী চৌকস্ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমান খান।
উদ্ধারকৃত ১২ টি পাখিকে হাওরে অবমুক্ত করে দেন তিনি। ছাড়া পেয়ে ডানা মেলে মুক্ত বিহঙ্গে উড়তে উড়তে পাখিগুলো প্রাকৃতিতে বিলিন হয়ে যায়। এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি।