শোভা আক্তার, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ঐতিহাসিক বড়বাজারে ঘটেছে লঙ্কাকান্ড। এক চায়ের ব্যবসায়ীর দোকানের সামনের ড্রেনে আবাসিক এলাকার কয়েকটি বাড়ির সৌচাগার থেকে পাইপের মাধ্যমে ময়লা নিস্কাসন করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ পুরো এলাকা দুর্গন্ধে ও জীবানুতে দুষিত হচ্ছে। শুধু তাই নয় ওই দোকানের সামনে ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রেনের ময়লা দোকানের সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে গণউপদ্রুপ সৃষ্টি করেছে প্রভাবশালী মহল। প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর ) ওই দোকানের ব্যবসায়ী ও উপজেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সহসভাপতি জুনেদ মিয়া বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, ছোটবেলা পিতা-মাতা হারানো উপজেলার ১ নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের পূর্ব তোপখানা গ্রামের জুনেদ মিয়া জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে অনেক রকমের ক্ষুদে ব্যবসা করেছেন। কিছুতেই ফল না পেয়ে স্ত্রী-সন্তান ও নিজের অন্ন যোগার করতে কিছুদিন পূর্বে বড়বাজার পশ্চিম এলাকার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় বাইপাস রোডে (করিম উল্লা বাজার হিসেবে পরিচিত) একটি ক্ষুদে চায়ের দোকান খুলেন।
দিনে ৪ থেকে ৫ শত টাকা আয় করে ভালই কাটছিল এই শ্রমিকলীগ নেতার দিনাতিপাত। কিন্তু এতে বাধসাদে কিছু কুচুক্রী মহল। জুনেদ মিয়া দোকানে না থাকার সুবাদে একটি প্রভাবশালী চক্রের প্ররোচনায় তার দোকানর সামনের ড্রেনের স্লেট উল্টিয়ে ওই ড্রেন থেকে সৌচাগার থেকে জমা হওয়া ময়লা তুলে দোকানের সামনের রাস্তায় স্তুত করে রাখে একদল নারী পরিচ্ছন্ন কর্মী। ওই কর্মীরা কোন অফিস থেকে এসেছিলো সেটি সহজ সরল জুনেদ মিয়া বলতে পারছেননা।
অপরদিকে বাড়িঘরের সৌচাগারের ময়লা জনবহুল সড়কের ড্রেনে ফেলার কারনে ওই চায়ের ষ্টল ও আসপাশের দোকানে আসা ভোজনপ্রেমীরা দুর্গন্ধ ও জীবানুযুক্ত খাবার খাচ্ছেন। পথচারীরা কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে ওই স্থান পাড়াপাড় হচ্ছেন। হচ্ছে এলাকার পরিবেশ দুষিত। অনুসন্ধানে জানা যায় ড্রেনটির উত্তর দিকে অনেক জায়গা মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়া হয়েছে। ফলে জুনেদ মিয়াসহ কয়েকজন ব্যবসায়ীর দোকানে সামনে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা জমা হয়ে পরিবেশ দুষিত করছে।
এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী মোঃ জুনেদ মিয়া জানান, ঘটনা ঘটানোর পরদিন তিনি প্রশাসন ও হাসপাতালে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের পর সেনেটারী ইন্সপেক্টর সরজমিনে প্রাথমিক তদন্ত করেছেন। ইউএনও মহোদয়ের সরজমিনে আসার অপেক্ষায় দুইদিন দোকান বন্ধ রেখে অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বানিয়াচং উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহসভাপতি সাংবাদিক শেখ সফিকুল ইসলাম সফিক ও এলাকার হীতকারী ব্যক্তিদের সহযোগীতায় রাস্তায় ফেলানো ময়লার স্তুপ অপসারন করেছেন এবং ড্রেনটি স্লেট দিয়ে ঢেকে রেখেছেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা দৈনিক অনুসন্ধানকে জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। অভিযোগের কপি এখনও হাতে পৌঁছায়নি। কপি পেলে তড়িৎ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।