মোঃসোহাগ পারভেজ,কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি: ১৫ অক্টোবর ২০২০(বৃহস্পতিবার),কুষ্টিয়া কুমারখালি উপজেলার ছেঁউড়িয়া আখড়াবাড়িতে লালন শাহ এর তিরোধান উৎসব উপলক্ষে সারা বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। পহেলা কার্তিকে লালন ভক্ত অনুসারীসহ সারা বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষের গণজমায়েতের সৃষ্টি হয়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এবছর লালন শাহ এর তিরোধান উৎসব স্থগিতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাধু ভক্ত অনুসারীসহ গনজমায়েত সৃষ্টির ফলে হতে পারে সংক্রমণের সম্ভাবনা। বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।সকল ধরনের সমাবেশ বন্ধ রয়েছে।কুষ্টিয়ায় এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭১জন মারা গেছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত অবস্থায় আছে।আশংকা করা হচ্ছে যদি বড় ধরনের গনজমায়েত করা হয় তাহলে করেনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় লালন শাহ মাজার প্রাঙ্গণে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ এর ১৩০তম তিরোধান উৎসব পালন করা সম্ভব না।করোনা মহামারী বিবেচনা করে এবং সরকারের করোনা সর্তকীকরণ নিয়মাবলি অনুসরণ করে,আসন্ন ১কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ এর ১৩০তম তিরোধান উৎসব পালন( লালন মেলা,আলোচনা সভা ও লালন সঙ্গীতানুষ্ঠান অয়োজন) করা সম্ভব হচ্ছে না। ০৪ অক্টোবর ২০২০ রবিবার জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া জনাব মোঃ আসলাম হোসেন মহোদয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে,”বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ্ এঁর ১৩০তম তিরোধান দিবস পালন স্থগিত” প্রসঙ্গে সীমিত পরিসরে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)। ইচ্ছা, আবেগ, ভালবাসা থাকা সত্ত্বেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তিরোধান দিবস পালন স্থগিত করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।