ষ্টাফ রিপোর্টার:হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার মিরপুর ৬নং ভাদেশ্বর ইউ/পির পর্ব জয়পুরে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতার অত্যাচারে সরকার কর্তিক অনুদানের ঘর থেকে বিতারিত মাহন মুক্তিযোদ্ধে হানাদারদের বুলেটে স্বামী ইয়াকুব আলীকে হারানো মুল্লক চান বিবি (৬০)। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় মুল্লুক চান বিবর এক ছেলে ও স্বামি এয়াকুব আলী। এরপর থেকে মুল্লক চান বিবি তাঁর একমাত্র কন্যা সন্তান কে নিয়ে মানুষের বাড়িতে কাজ করে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করেন। এছাড়া তার কন্যা সন্তান কে নিয়ে বছরের পর বছর রাত পোহাতে হয়েছে মন্দিরে কখনো পাড়া প্রতিবেশীর বারান্দায়।
অবশেষে তাকে ১ শতাংশ জায়গা কিনে দেন এলাকার দানশীল ব্যক্তি বাবু অজিত। ওই জমিতে সরকার মুল্লুক চান কে, ইট টিন দিয়ে একটি ঘড় নির্মাণ করে দেয়। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাড়ায় তৈয়ব খান এ-র পুত্র মুল্লক চান বিবির ভাইপো আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ খান (৪০)। সরকারের দেয়া একমাত্র ঘরটি দখল করে নিয়েছে সে। এমনিক সরকার কর্তিক স্হাপিত স্হাপনার সামনে গরু/ছাগল ও রাশেদ খানের দুই পুত্র কে দিয়ে করেছে টিউশন এর রুম। ওই প্রভাবশালী রাশেদ খানের অত্যাচারে ঘর ছেড়ে বর্তমানে স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ হওয়া ইয়াকুব আলীর স্ত্রী মুল্লুকচান বিবি।
এ ব্যাপারে দৈনিক অনুসন্ধানকে আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ খান জানান, মুল্লুকচানের জায়গাতে রাশেদ খানের ১ শতাংশ জায়গা রয়েছে। আপনি কেনো ঘরের ছবি তুলছেন, আপনি কি চিনেন আমাকে আমার দুই ভাই পুলিশ ও দুই ভাই সাংবাদিক। এ বিষয়ে আপনি যদি কিছু লেখেন তাহলে আমি আপনাকে দেখে নেবো ।
এ বিষয়ে প্রতিবেশীরা জানান সরকারের দেওয়া ঘড়টির জন্য রাশেদ অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে মুল্লকচান এর উপর। কেউ যদি এ-র প্রতিবাদ করে তার উপর চালায় হামলা রাশেদ খান ও তার সঙ্গীরা।
ভূক্তভোগী মুল্লুকচান বিবি জানান, বাহুবল সার্কেল অফিসার পারভেজ আলম খান ও স্হানিয় সরকার মন্ত্রনালয়ে রাশেদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। প্রতিবেদকের কাছে কেঁদে কেঁদে তিনি জানান আমার কোন বিচার নেই এ দেশে, আছে শুধু ৭১ সালের সেই কান্না।