ষ্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদর নন্দীপাড়ার শাহিন মিয়ার স্ত্রী চম্মা খন্দকার ৬ মাস যাবৎ নিখোঁজ। নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্বামী মোঃ শাহীন মিয়া প্রথমে বানিয়াচং থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বানিয়াচং সার্কেল শেখ মোঃ সেলিম বরাবরে অপর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
স্বামী শাহীন স্ত্রীকে তড়িৎ খোঁজে পাওয়ার আশায় হবিগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতে ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলার তদন্তভার হবিগঞ্জের পিবিআইকে ন্যস্ত করেন। শাহীন জানিয়েছে পিবিআই ঘটনার মোটিভ অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেছে।
গত ২৬ জুুল্ইা ২০২০ আদালতে দায়েকৃত মামলায় আসামীরা হলো উপজেলার বড়ইউড়ি গ্রামের বর্তমান মেম্বার মোহিত মিয়া (৪৫), মমিন মিয়ার মেয়ে কলি আক্তার(২৮) ও কাগাপাশার আইয়ুব আলীর মেয়ে শাহেনা আক্তার (২৬)।
মামলার বিবরনে জানা যায়, আসামী মোহিত মিয়া লম্পট চরিত্রের লোক। আসামী কলি আক্তার ও শাহেনা বেগম বিভিন্ন মহিলাদের ফুসলিয়ে নিয়ে মুহিত মিয়ার দ্বারা বিভন্ন কুকর্ম করায় এবং বিদেশ পচারকাারীরে সাথে সংযুক্ত।
শাহীন মিয়ার অভিযোগ তাঁর সহজ সরল স্ত্রীকে আসামীরা বিগত ৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে অপহরণ করে জোরপূর্বক গোপন স্থানে আটক করে রেখেছে কিংবা তাকে পাচারের সম্ভাবনা রয়েছে।
শাহীন আরও জানায় স্ত্রী চম্পা খন্দকারের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার নারিকেল বাড়ি গ্রামের সেলিম খন্দকারের কন্যা। ঢাকায় বসবাসের সময় চম্পাকে ভালোবেসে বিয়ে করে শাহীন। বছর খানেক স্ত্রীকে নিযে সুখে শান্তিতেই বসবাস করছিলো সে। কিন্তু মুহিত মেম্বার ও তার ২ নারী সহযোগী তার স্ত্রীকে অপহরণ করায় স্ত্রীর সন্ধানে সে পাগল প্রায়। স্ত্রীকে খোঁজে পেতে থানা ও কোর্টে দৌড়ঝাপ করতে করতে সে ক্লান্ত হয়ে গেছে।
শাহীন দৈনিক অনুসন্ধানকে বলেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিম স্যারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পিবিআই ঘটনরা মোটিভ উদঘাটনে অনেকটা এগিয়েছে।
এ ব্যাপারে মুহিত মেম্বার জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।