জীবন আহমেদ লিটন ॥ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে নিখোঁজ স্ত্রীর সন্ধান পেতে ৩ মাস যাবৎ পুলিশের দিকে তাকিয়ে আছে হতভাগা স্বামী শাহীন মিয়া। স্ত্রীর খোঁজ না পেয়ে নিরুপায় হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ভালোবেসে বিয়ে করা নিখোঁজ চম্পা খন্দকারের স্বামী নন্দীপাড়া দরগা মহল্লার মোঃ আঃ সালাম মিয়ার পুত্র শাহীন মিয়া (২৭)।
জানা গেছে দেড় বছর আগে শাহীন ভালোবেসে বিয়ে করেছিল গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানার নারকেল বাড়ী গ্রামের সেলিম খন্দকারের মেয়ে চম্পা খন্দকার(২২) কে। তাকে নিয়ে শাহীন তার বানিয়চংয়ের বাড়িতে সুখে শান্তিতে সংসার করছিল।
কিন্তু হঠাৎ গত ৬ এপ্রিল ২০২০ইং উপজেলা সদরের নন্দীপাড়া দরগা মহল্লার শাহীন মিয়ার স্ত্রী দুপুর ১২ ঘটিকার সময় পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে জল আনতে গিয়ে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। তারপরে শাহীন সম্ভাব্য বিভিন্ন স’ানে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার স্ত্রীর কোন হদিস পায়নি।
পরে কয়েকদিন পর বানিয়াচং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শাহীন। এর ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামেন বানিয়াচং থানার এ এস আই আ.ফ.ম ফিরোজ।
আড়াই মাসেও ঘটনার মোটিভ উন্মোচন না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে শাহীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বানিয়াচং সার্কেল শেখ মোহাম্মদ সেলিম বরাবরে গত ২৪ জুন একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
বিষয়টি তদন্তের ভার দেন বানিয়াচং থানার চৌকস এস আই আব্দু ছত্তারের কাছে। তারপর প্রায় একমাস পরও স্ত্রীর সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে হতভাগা স্বামী শাহীন মিয়া।
প্রতিবেদককে শাহীন মিয়া জানান তার স্ত্রী হারানোর দুশ্চিন্তা ও স্ত্রী চম্পা খন্দকারের পরিবারের লোকজনের হুমকি ধামকিতে সে হতভম্ব হয়ে পড়েছে। শাহীন স্ত্রীকে খোঁজে না পেলে সে যে কোন সময় হতাশায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বলে জানায়।
এব্যপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বানিয়াচং সার্কেল শেখ মোহাম্মদ সেলিম জানান, শাহীনের তথ্যমতে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে একাধিক মোবাইল নাম্বারের উপর নির্ভর করে তদন্ত চলছে।কয়েকটি মোবাইল নাম্বারের উপর সিডিআর এর কাজ চলছে।