দেওয়ান শোয়েব রাজা, দৈনিক অনুসন্ধান বিশেষ প্রতিনিধি : সদ্য বিদায়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মতিউর রহমান খান মাত্র ৮ মাসেই বানিয়াচং উপজেলবাসীকে মেধা, শ্রম. সাহস ও সততার সহিত কর্মযজ্ঞ দিয়ে জনগণের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দিয়েছেন ভূমি সেবা। করেছেন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা।
অক্টোবর ২০১৯ থেকে মে ২০২০ এই ৮ মাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন ৬৮ টি,জরিমানা আদায় হয়েছে ১২ লক্ষ টাকার অধিক, জেল হয়েছে ২১ জনের।
তিনি যোগদানের পর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বহুল কাংঙ্খিত বড়বাজার মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের ৬ শতক ভুমি দখলমুক্ত করে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। সাবরেজিস্টার অফিসের সামনের রাস্তা হকার মুক্ত করে যানযট নিরসনে ভুমিকা রেখেছেন। কাগাপাশা বাজারে ৫ শতক সরকারি ভুমি উধ্বার করে সরকারি স্বার্থ রক্ষা করেছেন। মক্রমপুর হিয়ালায় ১৮ একর সহ মোট ২৫ একর খাসজমি উদ্ধার করেছেন। পরিবেশ রক্ষায় অভিযান চালিয়েছেন ইটভাটায়। অতিথী পাখি রক্ষায় ছিলেন স্বোচ্ছার।
তিনি যোগদানের পর দির্ঘদিন ঝুলে থাকা মার্কুলি খেয়াঘাট কে ঘিরে সৃস্ট জটিলতা নিরসন করেছেন। ভুমি আপিল বোর্ডে শুনানি করে সরকারের পক্ষে রায় এনেছেন।
তিনি জলমহাল ইজারা ও খাস কালেকশন করে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্বি করেছেন। জলমহাল সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করে অনেক জটিলতা নিরসন করেছেন। যার ফলে রক্তক্ষয়ী অনেক সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়।
তিনি ভিপি সম্পত্তি রক্ষা ও লীজ মানি আদায়ের হার বাড়িয়েছেন । ১০-১৫ বছরের পুরাতন লীজ মানি আদায় করে হালনাগাদ করেছেন। ।
তার প্রচেষ্ঠায় ৫/৬ নং গরুর বাজার সিমানা নির্ধারন করে ভরাট করার ফলে সরকার বাহাদুর ৬/৭ গুন বেশি রাজস্ব আদায় করতে পারবেন।
তিনি শত ভাগ ই নামজারী কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করেছেন । এর ফলে ঘরে বসেই নামজারীর আবেদন সহ অন্যান্য কার্যক্রম সেবাগ্রহীতারা করে থাকেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমে ফেব্রুয়ারি মাসে ই-ফাইলিংএ সারাদেশের মধ্যে বানিয়াচং উপজেলা ভুমি অফিস ৭ নাম্বার অবস্হানে নিয়ে আসা হয়। তিনি যোগদানের সময় বানিয়াচং এর ই- নথি কার্যক্রম ছিল ৩৫৫ নাম্বারে।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের ভূমি উন্নয়ন কর আদায় প্রায় ৯০ ভাগ সম্পন্ন করেছেন। করোনার প্রকোপ না থাকলে তা ইতিমধ্যে শত ভাগ ছাড়িয়ে যেত।
কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত নথি সম্পন্ন করে ৪৫ টি ইতিমধ্যে ডিসি অফিসে প্রেরণ করেছেন। যা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
পরিবেশ রক্ষায় অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করেছেন । অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থান ছিল তাঁর।
বানিয়াচং উপজেলাবাসীকে করোনা ভাইরাস মুক্ত রাখতে নিরলস চেস্টা চালিয়ে নিজেই করোনা পজেটিভে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ১ মাস চিকিৎসার পর মে মাসে সুস্থ্য হন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মার্চ মাসের শুরু থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনা মনিটরিং, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং এ কার্যক্রমে দূর্নীতি হলে তার বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে দূর্নীতিবাজের দল মত না দেখে অপরাধ অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহন করেন তিনি।
বিদায়কালে এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, তাঁর উপর ন্যাস্ত দায়িত্ব স্বচ্ছতার সাথে পালনের চেস্টা করেছেন তিনি। তাঁর অফিসে আসা সর্বস্তরের মানুষ সরাসরি তাঁর সাথে যোগাযোগের ব্যবস্হা চালু করেছেন। ভুমি অফিসকে করেছেন দালালমুক্ত। যানযট মুক্ত পরিচ্ছন্ন সুন্দর বানিয়াচং গড়তে তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন । এরই ফলশ্রুতিতে তিনি অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ কিংবা সরকারি ভুমি দখলমুক্ত রাখতে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করেছেন। বাজার স্হিতিশিল বাখতে অসাধু ব্যাবসায়িদের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিকুলতা সত্ত্বেও মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রেখেছেন।