জীবন আহমেদ লিটন ॥ মরনঘাতী করোনার থাবায় সারাবিশ^সহ প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের মানুষ মহা সংকটে। দেশের সংকটকালে যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অতন্দ্র প্রহরী হয়ে জীবন বাজী রেখে কাজ করে আসছে। মহান মুক্তিযোদ্ধে সেনাবহিনীর রয়েছে অতুলনীয় ভূমিকা। দেশে যখনই কোন দুর্যোগ আসে তখনই সেনাবাহিনীর সদস্যরা জীবন বাজী রেখে দেশ ও জাতির কল্যানে ঝাপিয়ে পড়েন।
বর্তমান দেশের এ সংকট অন্যান্য দুর্যোগ এর চেয়ে অনেক বেশী ভয়ানক। দেশের নানা সেক্টরের মানুষ করোনা নামক অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল হয়েছেন। সেই যুদ্ধে অগ্রযাত্রা ও মানুষের আস্তার প্রতীক সেনাবাহিনীর সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারপরনাই যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছেন।
এ যুদ্ধে পিছিয়ে নেই সিলেট সেনানিবাস ১৭ পদাতিক ডিভিশন ৩২ বীর প্লাটুনের সেনা সদস্যরা। পবিত্র ঈদে যখন মানুষ ঘরে বসে হলেও আনন্দ ফুর্তি করছেন ঠিক সেই সময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সাড়াশি অভিযান চালিয়েছেন লেফটেন্যান্ট আজওয়াদ ফাইয়াজের নেতৃত্বে ৩২ বীর এর সেনা সদস্যরা।
মঙ্গললবার (২৬) মে দুপুরে বানিয়াচং বড়বাজারে এসে পৌঁছায় সেনাবহিনীর দুটি জীপ গাড়ি। এসময় বাজারে ব্যাপক মানুষের জটলা ছিল। সেনাবাহিনী হাজির হওয়ার পরপরই মানুষজন দিকবেদিক ছুটোছুটি করে জটলা ভেঙ্গে ফেলেন। বাজার এর ব্যবসায়ীরা একটু নড়েচড়ে বসেন। কেউ কেউ দোকানের সাঁটার লগিয়ে ফেলেন।
এসময় হ্যান্ড মাইকে লেফটেন্যান্ট আজওয়াদ ফাইয়াজ সচেতনতামুলক প্রচারাভিযান চালান। তিনি বলেন বাজারে অযথা জটলা বেঁধে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে তথা গোটা দেশকে করোনা ঝুঁকিতে ফেলবেন না। এছাড়া বাজারে মাস্ক ছাড়া আসা লোকজনকে থামিয়ে তাৎক্ষনিক মাস্ক ক্রয়ের ব্যবস্থা করে দেন।
এরপর সিলেট ১৭ পদাতিক ডিভিশন ৩২ বীর এর সেনাবাহিনীর চৌকস প্লাটুনটি পৌঁছায় স্থানীয় গ্যানিংগঞ্জ বাজারে। সেখানেও অবিরাম সচেতনতামুলক প্রচারাভিযান চালান লেফটেন্যান্ট আজওয়াদ ফাইয়াজ ও তার দল।