খাবার নিয়ে আজমিরীগঞ্জের পথে-ঘাটে তরুণ সেবক রুয়েল

জীবন আহমেদ লিটন ॥ পৃথিবী মহা সংকটে। সংকটে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বাঙ্গালি জাতি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রমান করেছিলো এতো সহজে আমরা ভেঙ্গে পড়বার জাতি নই। আর এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলেন সেই সময়কার বীর বাঙ্গালি মুক্তিকামী মানুষ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
সেই যুদ্ধ ছিল হায়না পাকিস্থানী অমানুষদের সাথে বাঙ্গালি মানুষের যুদ্ধ। এবার যে যুদ্ধের সাথে বাঙ্গালি জাতি লড়ে যাচ্ছে সেটি হলো অদৃশ্য করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসকে বিধ্বংস করতে হলে চাই আমাদের মনোবল ও রাষ্ট্রের সর্ব্বোচ্চ কর্ণধার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্ব। তিনি ইতি মধ্যেই সেই বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর পিতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ছিলেন বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জের সাবেক সাংসদ প্রয়াত শরীফ উদ্দিন স্যার। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক। সারাজীবন রাজনীতি করে তিনি তার ঔরষদের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারেন নি।
তার সততা ও আদর্শের প্রতীক সন্তানরা জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়ে হয়েছেন সুপ্রতিষ্ঠিত। তাদের মধ্যে অন্যতম এডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। পিতার দেখানো পথেই যেন তিনি তাল মিলিয়ে হাটছেন। দেশের সব্বোর্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি গ্রহন করেছেন আইন বিষয়ে ¯œাতকত্তোর ডিগ্রী।
পড়াশোনা শেষ করেই পিতার স্বপ্ন ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে রাজনীতিতে মনোনিবেস করেন তিনি। কয়েক বছর যাবৎ তিনি বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অনেক বিত্তবান, সমাজপতি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা যেখানে প্রাণ ও সম্পদ বাঁচাতে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন ঠিক সেই সময়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুযেল ছুটে চলেছেন জীবন বাজি রেখে মানুষের দোয়ারে দোয়ারে। নিজ হাতে বাজার সদাই করে নিজেই বহন করে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন প্রকৃত হতদরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের মাঝে।
টানা আড়াই মাস যাবৎ তিনি দফায় দফায় খাবার সামগ্রী মানুষকে উপহার দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি এবারের ঈদে খেটে খাওয়া নিরন্ন মানুষের মুখে হসি ফোটাতে দিনরাত পরিশ্রম ও অর্থ দিয়ে তৈরী করছেন ঈদ খাবার সামগ্রী খাবারের প্যাকেট। ২ হাজার প্যাকেট খাবার যোগার করার পর তিনি গত তিন যাবৎ চষে বেড়াচ্ছেন গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলে।
সোমবার (১৮ মে ) তিনি ছুটে গিয়েছেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ওই উপজেলায় খোঁজে খোঁজে অতিদরিদ্রদের বের করে নিজ হাতে বয়ে নিযে খাবারের প্যাকেটগুলো তুলে দিয়েছেন।
ক্লান্তিহীন এ করোনযোদ্ধার পিতার রেখে যাওয়া তেমন কোন সম্পদও নাই। নিজের প্রচেষ্টায় যোগার করা অর্থ মানবতার সেবায় বিলিয়ে দিয়ে তিনি যেন একটু পরিশ্রান্ত নন।

কথা হলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মানুষের সেবায় নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতা মাতা ভাই বোনদের হারিয়েও বাংলাদেশকে দুহাত দিয়ে আগলে রেখেছেন।

আমার পিতা মরহুম শরীফ উদ্দিন এমপি মহোদয় বঙ্গবন্ধুর গড়ে তুলা রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সারাজীবন কাজ করে গেছেন। তাই আমিও এ দলের সামান্য একজন কর্মী হিসেবে জনসেবাকে ভ্রত মনে করি।
তিনি আরও বলেন দেশের এ ক্রান্তিকালে সমাজের বিত্তবানরা যদি মানুষের পাশে না দাঁড়ান তাহলে আমরা এ যুদ্ধে হেরে যেতে পারি। আসুন আমরা সকলে মিলে সরকারী বিধিনিষেধ মেনে চলি এবং যার যার অবস্থান থেকে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াই। তাহলেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বাঙ্গালি জাতি করোনাযোদ্ধে বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।

Print Friendly, PDF & Email

আরও পড়ুন...

মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে উত্তাল বানিয়াচং যুবলীগের নেতৃবৃন্দ : সুশান্তের কুশপুত্তলিকা দাহ

অনলাইন ডেস্ক, দৈনিক অনুসন্ধান

মুজিববর্ষে শেখ হাসিনার উপহার : বানিয়াচংয়ে ১০৫ টি পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন বানিয়াচং টাস্কফোর্স কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালা

অনলাইন ডেস্ক, দৈনিক অনুসন্ধান