বানিয়াচংয়ে শতাধিক নির্মাণ শ্রমিকের থেকে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া ৩ প্রতারক আটক

রীতেশ কুমার বৈষ্ণব, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) থেকে : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গত ৪ ও ৫ মে ২ নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের শেখের মহল্লা, গরীব হোসেন মহল্লা ও আদমখানীর ১ শত ৬০ জন নির্মাণ শ্রমিকের থেকে ভূয়া পরিচয়ে সরকারের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৮ হাজার টাকা করে দেয়ার নামকরে প্রত্যেকের নিকট থেকে ৩শত ২০ টাকা করে হাতিয়ে নেয় ৩ সদস্যের একটি প্রতারক চক্র। একই পন্থায় ৫ মে দুপুরে ৪ নং ইউনিয়নে পাঠানটুলা এলাকায ২৩ জনের থেকে টাকা আদায় করে চক্রটি। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রেহাছ মিয়া চক্রের ৩ সদস্যকে মোটর সাইকেলসহ আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। সেখানে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মামুন খন্দকার তাদেরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং তাদের মোটর সাইকেল ও একটি দামী মোবাইল জব্দ করে চেয়ারম্যান রেহাছ মিয়ার জিম্মায় দিয়ে শর্ত দেন প্রতারনা করে নেয়া টাকা ভোক্তভোগীদের ফিরিয়ে দিয়ে মোটর সাইকেল ও মোবাইল ফেরত নিবে প্রতারক চক্র। মঙ্গলবার (৫ মে) দুপুরে তাদেরকে আটক করা হয়।

প্রতারকরা হলো চুনারুঘাট এর শানখলা ইউনিয়নের মৃত মরতুজ আলীর পুত্র ফুরুক মিয়া (৩৫) একই ইউনিয়নের এর বাসিন্দা শাহিন মিয়া (৩৫) এবং বানিয়াচং যাত্রা পাশা গ্রামের রইছ মিয়ার পুত্র শফিক মিয়া (৩৪)।

জানা যায়, প্রতারক চক্রটি নিজেদের জাতীয় নির্মাণ শ্রমিক সমিতির সদস্য দাবী করে ২ নং ইউনিয়নে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ৪ নং ইউনিয়নে নির্মাণ শ্রমিকদের থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া শুরু করে। বানিয়াচং ৪ নং ইউনিয়নের নতুন বাজার সংলগ্ন পাঠান টুলা গ্রামে নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের সদস্য বানানোর নামে জন প্রতি ৩২০ টাকা করে আদায় করছিল প্রতারক চক্র । খবর পেয়ে বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব ইকবাল হোসেন খাঁন ৪ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেহাছ মিয়াকে বিষয়টি সর্ম্পকে অবহিত করেন ।

পরে জনতার সহযোগিতায় রেহাছ মিয়া প্রতারক চক্রকে আটক করে ৪ নং ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন, এবং তাদের সংগঠনরে বৈধতা যাচাই করলে কোন বৈধতা মিলেনি। তারা মোট ১ শত ৯৩ জন শ্রমিকের থেকে জনপ্রতি সদস্য ফি বাবদ ৩২০ টাকা এবং ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি সহ আরও কাগজ পত্র জমা নেয়। প্রতারকদের বৈধতা না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বানয়িাচং থানায় খবর দিলে এ. এস. আই গৌতম কুমার প্রতারক চক্রটি কে থানায় নিয়ে যান । পরে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মামুন খন্দকার তাদেরকে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে জন প্রতি একহাজার টাকা, অর্থদন্ড করেন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মোটর সাইকেল ও একটি দামী মোবাইল সকলের টাকা ফেরত দিয়ে বুঝে নিতে নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুন খন্দকার।

Print Friendly, PDF & Email

আরও পড়ুন...

সবার আগে টিকা নিয়ে জেলাবাসীকে উদ্বুদ্ধ করলেন এমপি আবু জাহির

বানিয়াচংয়ে বিপুল ইয়াবাসহ চিহ্নিত কারবারি গ্রেফতার, এলাকায় স্বস্তি

একটি রাস্তার জন্য বানিয়াচংয়ে শতবর্ষী মহিলা মাদ্রাসার ৫শ শিক্ষার্থীর দুর্ভোগ