বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ফরহাদ হোসেন বকুলের দোকান ভিট ৫ বছর যাবৎ দখল করে রেেেখছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক শাহনেওয়াজ ফুল মিয়া ও তার মামাতো ভাই যুবলীগ নেতা ও পল্লী বিদ্যুতের ইলেক্ট্রিশিয়ান লুৎফুর রহমান। বিষয়টি নিয়ে সেনাক্যাম্পে যেতে চাইলে সালিশানরা মাপজোখ করে দোকান ভীট উদ্ধার করে দেবেন নিশ্চিত করলে অভিযোগ করা থেকে বিরত রয়েছেন ফরহাদ হোসেন বকুল। খোঁজ নিয়ে জানা যায় লুৎফুর ইলেক্ট্রিশিয়ান থেকে আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় শূন্য থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক।
এলাকাবাসী জানান, ফরহাদ হোসেন বকুল স্বৈরাচবার আওয়ামীলীগের মিথ্যা মামলায় পলাতক থাকার সুযোগে আওয়ামীলীগ নেতা শাহনেওয়াজ ফুল মিয়া ও যুবলীগ নেতা লুৎফুর রহমান স্থানীয় বড়বাজার আলিয়া মাদ্রাসা রোডে ১২ থেকে ১৪ ফুট প্রস্ত দেশীয় ১ শতক দোকান ভীট পুলিশ ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরীর সহায়তায় জোর পূর্বক দখল করে স্থাপনা তৈরী করেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার পতনের পর স্বাধীন ও মুক্ত হয়ে এ বিষয়ে সেনাক্যাম্পে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বকুল। খবর পেয়ে নন্দীপাড়া ৭ মহল্লা ছান্দ সরদার মোতাব্বির হোসেন খোকন ও ইউপি সদস্য লোকমান মিয়া এবং এলাকার গণ্যমান্যরা জায়গাটি প্রাথমিক মাপজোখ করেন এবং দখলের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত হন। পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ী কবির ডাক্তার দেশে না থাকায় ২ মাসের মধ্যে জায়গা দখল মুক্ত করে ফরহাদ হোসেন বকুলের অনুকোলে দোকান ভিটটি বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করলে সেনাক্যাম্পে অভিযোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকেন বকুল।
এ ব্যাপারে ছান্দ সরদার খোকন ও মেম্বার লোকমান বলেন, আগামী ৭ অক্টোবর পাশ্বর্তী দোকান ভিট মালিক দেশে আসলে বিষয়টি সমাধান করে দেবেন। ভ‚ক্তভোগী ফরহাদ হোসেন বকুল বলেন, আওয়ামীলীগের দাপুটে নেতা ফুল মিয়া, ও যুবলীগ নেতা লুৎফুর ক্ষমাতার অপব্যাবহার করে উপজেলা চেয়ারম্যান অবুল কাশেম চৌধুরী ও পুলিশের সহায়তায় আমার আমার ভিট দখল করে রেখেছে। ছান্দ সরদার মোতাব্বির হোসেন খোকনের প্রতি আস্থা রেখে আমি তাদের মাধ্যমে বিষয়টি যৌক্তিক সমাধানের জন্য অপেক্ষা করছি।