শফিউল করিম ফুয়াদ : সারা বাংলাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে বিদ্যুতের রেকর্ড পরিমান লোডশেডিং নিয়ে করনীয় ঠিক করতে স্থানীয়দের সাথে মতমিনিয় করেছেন সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইমন ও পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আব্দুল্লা আল মাসুদ। বৃহস্পতিবার ( ১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মেজর মাহি আহমেদ চৌধুরীর প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন ইমন বলেন, এদেশ ও গ্রাম আমাদের সম্পদ, এগুলো ধংস করলে ক্ষতি আমাদেরই হবে। উগ্রবাদ, ভাংচুর বিশৃঙ্খলা করে কোনোকিছু সমাধান করা যায় না। আমি আশা করবো উপজেলাবাসীর যৌক্তিক চাহিদাগুলো যার যার জায়গা থেকে প্রচার এবং লবিং অব্যাহত রেখে দাবী আদায় করতে হবে। বিবিয়ানার গ্যাসের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ অত্রাঞ্চলের মানুষের অগ্রাধিকার বেশি, তাই লেখালেখির মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ আদায় করে নিতে হবে, সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর শতভাগ সমর্থন রয়েছে।
ডিজিএম বলেন, কয়েকটি উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় বানিয়াচংয়ে ২০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরিীতে সরবরাহ পাচ্ছি মাত্র ১০ থেকে ১২ মেগাওয়াট। তিনি বলেন আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে পুরোপুরি লোডশেডিং বন্ধ করা যাবে, কয়েকটি দিন উপজেলাবাসীকে ধৈর্য ধরার আহবান জানান।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ডিজিএম বলেন বিগত সরকারের আমলে যে সকল আইন আছে সেগুলো সংস্কার হলে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী মিটার ভাড়া, ডিমান্ড চার্জ ও অন্যান্য খুটিনাটি সমস্যাগুলো সমাধান হবে। ভুতুরে বিলের বিষয়ে বলেন মিটার সংক্রান্ত ত্রæটির কারণে হলে সেগুলো অফিসের পক্ষ থেকে বিনা খরচে সমাধান করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুল হোসাইন মারুফ, মাওলানা মখলিছুর রহমান, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোবাশ্বির আহমদ, বিএনপির সেক্রেটারী নকিব ফজলে রকিব মাখন, জামায়াতে ইসলামীর আমির তাসলিম আলম, বড়বাজার কমিটির সভাপতি লুৎফুর রহমান, বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি জীবন আহমেদ লিটনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, ছাত্র সমন্বয়ক ও নানা শ্রেণীপেশার মানুষ।