বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একমাত্র বিদ্যাপিঠ মুরাদপুর এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুহেল মিয়া ও সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ খানের পিএস আওয়ামীলীগ নেতা তজম্মুল হক চৌধুরীর চাচাত ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী রুহুল আমিন, তজম্মুলের ভাতিজা রুমেন, শিক্ষক রিপন, আলাউদ্দিনের অত্যাচার এবং হত্যার হুমকিতে অতিষ্ট হয়ে প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন মহসিন ও সহকারী শিক্ষক আবুছালেহ চৌধুরী। ওই দুই শিক্ষক নিরাপত্তা ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি প্রেরন করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদ এবং নতুন করে অনিয়ম করার সুযোগ না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বহুদিন যাবৎ ষড়যন্ত্র করেছেন তজম্মুল হক চৌধুরী। দেশের ক্ষমতার পালাবদলে তজম্মুল গা ঢাকা দেওয়ায় তার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বিএনপি নেতা রহুল ও ছাত্রলীগ নেতা সুহেলসহ অন্যান্যরা শিক্ষকদ্বয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা প্রপাগান্ডা এমনকি তাদের হত্যার হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
অপরদিকে তজম্মুল হক চৌধুরীর ভাতিজা রুমেন চৌধুরী, শিক্ষক রিপন কুমার দাস ও আলাউদ্দিন মিয়াকে আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে ভিন্ন ভিন্ন পত্রের মাধ্যমে যথাযথ নিয়ম পালন করে সাসপেন্ড করেন প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন মহসিন। প্রধান শিক্ষককে চাপে রেখে চাকুরী ফিরে পাওয়ার উদ্দেশ্যে বিহস্কৃতরাও বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন উল্লেখ করে স্কুলের শিক্ষার মান চলমান রাখার স্বার্থে হুমকি দাতা সুহেল, রুহুল, রুমেন, রিপন ও আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান প্রধান শিক্ষক জাকির ও আবুছালেহ।
প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন মহসিন বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট, চেম্বার জজ আদালত ও সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মহোদয়ের পূর্নাঙ্গ কোর্টের রায় আমার পক্ষে হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা করে ছাত্রলীগ নেতা সুহেল ও বিএনপি নেতা রুহুল আমিন চৌধুরীসহ দুর্নীতিগ্রস্থ কিছু শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সুনামধন্য স্কুলটির ক্ষতি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।