সিলেট থান্ডার্সের বিপক্ষে হেসেখেলেই জয় পেল রংপুর রেঞ্জার্স। রংপুরের বিপক্ষে ২০০ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি সিলেট।
২০০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সিলেট থান্ডার্স। সময়ের ব্যবধানে আন্দ্রে ফ্লেচার, আব্দুল মজিদ, মোহাম্মদ মিঠুন, শফিকুল্লাহ, সোহাগ গাজী, রনি তালুকদাররা বিদায় নিলেও উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রাখেন শেরেফানি রাদারফোর্ড।
সিলেট থান্ডার্সের এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে যান। শেষ দিকে জয়ের জন্য ২০ বলে প্রয়োজন ছিল ৫৫ রান। খেলার এমন মুহূর্তে রান আউটের ফাঁদে পড়েন রাদারফোর্ড।
এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান বিপদসীমা পার করলেও তার দুই পা ছিল শূন্যে যে কারণে থার্ড আম্পায়ার ভিডিও দেখে রান আউটের সিদ্ধান্ত দেন। ১৪৫ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৩৭ বলে ৫টি চারও তিন ছক্কায় ৬০ রান করেন শেরেফানি রাদারফোর্ড।
এরপর শেষ দিকে ক্রিসমার সান্টোকি পরাজয়ের ব্যবধান কিছুটা কমালেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি। সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট। ৩৮ রানের জয় পায় রংপুর। চলতি বিপিএলে নিজেদের ১০ খেলায় চতুর্থ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সাত দলের মধ্যে টেবিলের ছয় নম্বরে রংপুর। আর ১০ ম্যাচে ৯টিতে হেরে যাওয়া সিলেট থান্ডার্স পয়েন্ট টেবিলের তলানীতেই পড়ে আছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি সপ্তম আসরের ৩২তম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে রংপুর।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই তাণ্ডব শুরু করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। রংপুরের অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্যাটসম্যান শেন ওয়াটসনকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনীতে ৮.৩ ওভারে ৭৭ রানের জুটি গড়েন নাঈম।
৩৩ বলে সাতটি চার ও এক ছক্কায় ৪২ রান করতেই মনির হোসেনের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাতীয় দলের তরুণ ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। এর আগের তিন ম্যাচে ২৭, ৫৫ ও ৩৮* রানের ইনিংস খেলেছেন রংপুরের এ ওপেনার।
নাঈম আউট হওয়ার পর ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন শেন ওয়াটসন। চলতি বিপিএলে আগের চার খেলায় যথাক্রমে ৫, ১, ৭ ও ২ রানে আউট হওয়া এ অস্ট্রেলিয়ান এদিন ব্যাটিং ঝলক দেখান। ৩৬ বল খেলে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬৮ রান করে ফেরেন শেন ওয়াটসন। ইনিংসের একিবারে শেষ মুহূর্তে মাত্র ৮ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ফজলে হামুদ ১৬ রান করলে রংপুরের স্কোর দাঁড়ায় ১৯৯/৫।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৯৯/৫ (ওয়াটসন ৬৮, নাঈম ৪২, ডেলপোর্ট ২৫, মোহাম্মদ নবী ২৩, ফজলে মাহমুদ ১৬*, লুইস গ্রেগরি ১৫; এবাদত হোসেন ২/৩০)।
সিলেট থান্ডার্স: ১৯.১ ওভারে ১৬১/১০ (রাদারফোর্ড ৬০, মিঠুন ৩০; তাসকিন ২/৩৯, মোস্তাফিজ ২/১৮)।
ফল: রংপুর ৩৮ রানে জয়ী।